বর্তমানে প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে প্রতারকরাও তাদের কৌশল বদলে আরও সূক্ষ্ম ও বিশ্বাসযোগ্য পদ্ধতি অবলম্বন করছে। ‘রোমান্স স্ক্যাম’, ‘ভুয়া এসএমএস অ্যালার্ট’ এবং ‘ঘোস্ট ট্যাপিং’ এখনকার সময়ের সবচেয়ে আলোচিত ও বিপজ্জনক অনলাইন প্রতারণা। এই প্রবন্ধে এই প্রতারণাগুলোর ধরন ও প্রতিরোধের উপায় নিয়ে আলোচনা করা হলো।
রোমান্স স্ক্যাম:
এই প্রতারণায় প্রতারকরা সোশ্যাল মিডিয়ায় বা ডেটিং অ্যাপে একটি ভুয়া পরিচয়ে সম্পর্ক গড়ে তোলে। তারা ধীরে ধীরে ভিকটিমের বিশ্বাস অর্জন করে এবং এক পর্যায়ে প্রেম বা বন্ধুত্বের নামে টাকা দাবি করে। “ভিসা সমস্যা”, “জরুরি মেডিকেল খরচ” বা “উপহার পাঠানোর জন্য চার্জ” ইত্যাদি অজুহাতে অর্থ নেয়। অনেকেই আবেগের বশে না বুঝেই লক্ষাধিক টাকা হারান।
ভুয়া এসএমএস অ্যালার্ট:
বিভিন্ন ব্যাংক বা মোবাইল কোম্পানির নামে ভুয়া এসএমএস পাঠিয়ে ব্যবহারকারীদের বিভ্রান্ত করা হয়। এসব এসএমএস-এ বলা হয়, “আপনার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাবে”, “পুরস্কার জিতেছেন”, বা “OTP যাচাই করুন”। সঙ্গে দেওয়া হয় একটি ভুয়া লিংক বা ফোন নম্বর, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য বা টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়।
ঘোস্ট ট্যাপিং:
এই তুলনামূলক নতুন প্রতারণায়, হ্যাকাররা দূর থেকে আপনার মোবাইল বা ট্যাবলেটের স্ক্রিন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এটি সাধারণত স্পাই অ্যাপ ইনস্টল হওয়ার মাধ্যমে হয়, যা আপনি না জেনেই ই-মেইল বা এসএমএস থেকে ইনস্টল করতে পারেন। প্রতারকরা আপনার ব্যাংক অ্যাপ, ওয়ালেট বা ব্যক্তিগত চ্যাটে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়।
কিভাবে নিরাপদ থাকবেন:
- অজানা উৎস থেকে পাওয়া লিংক ক্লিক করবেন না।
- আপনার ফোনে কোনো অজানা অ্যাপ ইনস্টল হলে দ্রুত রিমুভ করুন।
- নিয়মিত ফোন স্ক্যান করুন এবং অ্যাপ পারমিশন চেক করুন।
- সোশ্যাল মিডিয়ায় অপরিচিতদের সঙ্গে ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করবেন না।
- সন্দেহজনক এসএমএস পেলে সরাসরি ব্যাংক বা কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করুন।
এই ধরণের প্রতারণার শিকার হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নিন এবং সচেতন থাকুন। প্রযুক্তির সুবিধা গ্রহণ করুন, কিন্তু সতর্ক থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ।